Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

কত যন্ত্রণা পাবার পর ভারতীয় হওয়া যায়? জয়কৃষ্ণর করুণ কাহিনি

ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্ত জয়কৃষ্ণ পালের সংক্ষিপ্ত করুণ জীৱন-কাহিনি ---''আমাদের সাথে যা হলো পৃথিবীর কোনো মানুষের যাতে না হয়!"  ...


ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্ত জয়কৃষ্ণ পালের সংক্ষিপ্ত করুণ জীৱন-কাহিনি


---''আমাদের সাথে যা হলো পৃথিবীর কোনো মানুষের যাতে না হয়!" হাইস্কুলের  সার্টিফিকেট থাকা সত্বেও কি ভাবে বিদেশী হলো বুঝলাম না!আমাদের  পরিবারটাই ধ্বংশ হয়ে গেলো ...

✍️পারিজাত নন্দ ঘোষ


মনালিছা পাল! এক অভাগা ভারতীয় নারী শক্তি! পরিস্থিতিকে সামলে নেওয়া দ্বায়িত্নশীলা সাহসী তরুণী! 

 বন্ধু-বান্ধবীরা যখন কলেজ পড়ুয়া তখন আধাতে লেখা পড়া ছেড়ে সংশারের হাল ধরেন! 

বঙাইগাঁও শহরের এক কাপোড়ের দোকানে এই মনালিছা সারাদিন কাজ করে মাসের শেষে লাভ করেন ২৮০০ টাকা!

হ্যাঁ মাত্র ২৮০০ টাকা অর্থাৎ দিনে ১০০ টাকারো কম!

এই  সামান্য টাকা দিয়েই মনালিছা গত দুই বছর যাবত তিনজনের সংশারের খাওয়া জুগিয়েছে! কারণ তার বাবা রাষ্ট্রহীন, আবদ্ধ ডিটেনশন ক্যাম্পে! মনালিছা তার বাবার অবর্তমানে সংশারের খাওয়া জুগিয়েছে শুধু তাই নয়, চিকিৎসার খরচো বহন করেছে হাইপ্রেসার ও ডাইবেটিছে  সজ্জ্বাশায়ী মার! শেষ এখানে নয় তার ছোটে বোন তখন স্কুল পড়ুয়া,তাকেও দেখতে হয়েছে মনালিছাকেই!

দীর্ঘ ২ বছর পর বাবা কে পেয়ে দুই মেয়ে ও বাবার কান্নার করুণ দৃশ্য দেখে নিজেকেও আর সামলে রাখা যায় না! 

১৯৭১ সনের ২৫ জানুয়ারি বাবার বঙাইগাঁও বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের  সার্টিফিকেট থাকা সত্বেও কি ভাবে বিদেশী হলো বুঝলাম না!আমাদের  পরিবারটাই ধ্বংশ হয়ে গেলো দাদা! "

মনালিছার বাবা দূর্ভাগা জয় কৃষ্ণ পাল বাড়ি পৌছে  নির্বাক হয়ে বসে আছে! তার চোখো জল! অসুস্থ স্ত্রী ঘরের বাইরে আসার ক্ষমতা নেই! 

ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে বের করে  জয়কৃষ্ণ পালকে যখন বাড়ি নিয়ে গেলাম-

মনালিছা চোখে জল নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাতজোড় করে বললো, "দাদা আমাদের সাথে যা হলো পৃথিবীর কোনো মানুষের যাতে না হয়!"

"১৯৭১ সনের ২৫ জানুয়ারি বাবার বঙাইগাঁও বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের  সার্টিফিকেট থাকা সত্বেও কি ভাবে বিদেশী হলো বুঝলাম না!আমাদের  পরিবারটাই ধ্বংশ হয়ে গেলো দাদা! "

মনালিছার বাবা দূর্ভাগা জয় কৃষ্ণ পাল বাড়ি পৌছে  নির্বাক হয়ে বসে আছে! তার চোখো জল! অসুস্থ স্ত্রী ঘরের বাইরে আসার ক্ষমতা নেই! 

দুই বোন বাবাকে বোঝাচ্ছে "বাবা মার সামনে তুমি কান্না কইরো না!রোজ কান্না করে মা আর তুমি কবে আসবা জিজ্ঞাসা করে! তুমি যদি কান্না করো,মা হইতো....!"

উফফফ...!

এসব যন্ত্রণা আর কত দেখবো?

অসমের বিখ্যাত গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে ১৭ মে'ৰ দিন মুক্তি পেলো জয়কৃষ্ণ পাল ! এর বাড়ি বঙাইগাঁও শহরের বাকিরভিটা । তার জীৱনের, বাড়ির করুণ সংক্ষিপ্ত কাহিনি  এই!

 

No comments