বরাক উপত্যকার চা-জনগোষ্ঠীর মাঝে নারীদের অনগ্ৰসরতার কয়েকটা কারণ --চা-পাতা তোলার কাজে পুষদের তুলনায় মহিলার বেশি পারদৰ্শী৷ ফ্যাক্টরীর কাজেও ম...
বরাক উপত্যকার চা-জনগোষ্ঠীর মাঝে নারীদের অনগ্ৰসরতার কয়েকটা কারণ
--চা-পাতা তোলার কাজে পুষদের তুলনায় মহিলার বেশি পারদৰ্শী৷ ফ্যাক্টরীর কাজেও মহিলার দক্ষতা দেখাতে শু করলেন৷ মহিলাদের দায়বদ্ধতা ও একনিষ্ঠতা প্ৰদৰ্শনে মহিলাদের চাহিদাও বেশি হতে শু করল৷ তবে, মজুরী পুরুষদের তুলনায় অনেক কম দেওয়া হতো এই শোষণ কিন্তু দীৰ্ঘ একশ বছররও বেশি সময় ছিল৷ পরে একসময় মজুরী সমান হয় তবে আসামের সব বাগানে মজুরী সমান নয়৷
কাজল দেমতা
বরাক-উপত্যকার একটা অন্যতম বড় শিল্প হলো চা শিল্প৷ এই শিল্প বরাককে যেমন রেখেছে সবুজ শোভিত করে, তেমনি অৰ্থনৈতিকভাবে করেছে সমৃদ্ধ৷ কয়েক লক্ষ শ্ৰমিক এই চা-শিল্পে কাজ করেন অতিবাহিত করছেন৷ এই শিল্পের সূচনা লগ্ন থেকেই জড়িয়ে থাকা মানুষগুলো স্বভাবতই এ জায়গার মাটি-জল-হাওয়াকে ভালোবেসে ফেলে বহু বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন৷ বরাক-উপত্যকার চা-শ্ৰমিকদের অবস্থান আজও প্ৰান্তিকায়িত৷ এর মধ্যে নারীসমাজ দ্বিগুণ প্ৰান্তিকায়িত৷ উন্নয়ন যে এই বিশাল সময়ে কিছুই হয়নি এমনটা বলা যাবে না৷ অনেক বাধা বিপত্তি, অনেক রকমের সংস্কারের বাধা ডিঙ্গিয়ে কিছুটা হয়েছে৷ শত অন্তরায় থাকার ফলেও সমস্ত¸ পৃথিবী যখন উন্নতি সভ্যতা ও প্ৰগতির হাত ধরে চলছে যতটুকু হওয়া উচিত ছিল ততটা হয়নি৷
প্ৰখ্যাত সমাজকৰ্মী ও লেখিকা শ্ৰীমতি গায়ত্ৰা বাহাদুর উনার লেখায় মরিসাস, ফিজি, ঘানার মতো স্থানের প্ৰবাসী ভারতীয় মূলের শ্ৰমিক সমাজের ক্ষমতায়নের অনেক চিত্ৰ তুলে ধরেছেন, ততটা আমাদের দেশে তথা আসাম বরাকে দেখা যায়নি৷ কেন হয়নি তা ভাববার বিষয়৷ যথাযথ অনুসন্ধানভিত্তিক সমীক্ষা হলে তা বুঝা যেতো৷ যা হওয়া একান্ত প্ৰয়োজন৷ এ ক্ষেত্ৰে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যোসিয়োলজি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় অনেক তথ্যানুসন্ধান হতে পারতো৷
তথ্য অনুসন্ধান করে প্ৰাপ্ত বিষয়াদি সরকারী বা বেসরকারী মাধ্যমে কল্যাণমুখী প্ৰকল্পগুলি বাস্ত¸বায়ন করা যেতো, আরু তা বাস্তবায়িত হলে অবস্থার পরিবৰ্তন হতো সন্দেহ নাই৷
চা বাগানের কাজে প্ৰথম শুধু পুষ শ্ৰমিক ছিলেন, বেশ কিছু পরে কৰ্মীর অভাব হলে মহিলা শ্ৰমিক নিয়োগ করা হয়৷ চা-পাতা তোলার কাজে পুষদের তুলনায় মহিলার বেশি পারদৰ্শী৷ ফ্যাক্টরীর কাজেও মহিলার দক্ষতা দেখাতে শু করলেন৷ মহিলাদের দায়বদ্ধতা ও একনিষ্ঠতা প্ৰদৰ্শনে মহিলাদের চাহিদাও বেশি হতে শু করল৷ তবে, মজুরী পুষদের তুলনায় অনেক কম দেওয়া হতো এই শোষণ কিন্তু দীৰ্ঘ একশ বছররও বেশি সময় ছিল৷ পরে একসময় মজুরী সমান হয় তবে আসামের সব বাগানে মজুরী সমান নয়৷
প্ৰথমদিকে মহিলারা পারিবারিক দায়িত্ব ও চা বাগানে কাজের দায়িত্ব বহন করতে করতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তেন৷ অনেক সময় কাজের চাপ সহ্য করতে না পের অনেকের মৃত্যু ঘটতো৷ শুধু যে ইংরেজ অধীন থাকার সময় এরকম ঘটেছে তা নয়, স্বাধীনতার পরেও অনেক চা বাগানে একই অবস্থা ছিল৷ শ্ৰমিকের আজও এই নিয়ম চালু আছে অনেক চা বাগানে৷
ব্ৰিটিশ জমানায় বা তার পরেও উদ্ধৰ্তন কৃৰ্তপক্ষের দ্বারা মহিলারা বিশেষ করে সুন্দরী মহিলারা আনন্দের বা উপভোগের শিকার হতেন৷ অনেক মহিলাকে উপপত্নী করে বছরের পর বছর ইংরেজ মালিক ও ম্যানেজাররা রেখে দিত, তারপর ছেড়ে দিয়ে একসময় চলে যেতো–এরকম নজির অনেক আছে৷ ঐ সময় শ্ৰমিক সমাজ মুখ খুলতে পারতো না নিৰ্মম অত্যাচাবের ভয়ে৷ সংগঠিত প্ৰতিবাদ তো দূরের কথা৷ পীড়িত মহিলারা সারাজীবন বেঁচে থাকতেন৷ প্ৰায় একঘরে হয়ে থাকার মতোই বেঁচে থাকতে হতো৷ স্বাধীনতার আগে নারী শ্ৰমিকরা চা বাগানগুলিতে শিক্ষার সুযোগ সুবিধা পাননি৷ তবে কম হলেও অনেকে পড়াশুনো করেচেন৷ এখন অবশ্য চেহারা একেবারে বদলে গেছে৷ চা বাগানগুলিতেও মেয়েদের মধ্যে শিক্ষিতের হার অনেক বেড়ে গেছে৷ ধীরে ধীরে সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে মানসিকতারও পরিবৰ্তন হয়েছে৷ সবাই জানতে শু করেছেন যে লেখাপড়া না করলে এগিয়ে যাওয়া যাবে না৷ ভালোভাবে বাঁচবার জন্য শিক্ষাটা অত্যন্ত জরুরী৷ বরাক উপত্যকার চা-জনগোষ্ঠীর মাঝে নারীদের অনগ্ৰসরতার আরুও কয়েকটা কারণ পরিলক্ষিত করা গেছে৷
প্ৰথম কারণ কম বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া৷ এর ফলে স্কুলের শিক্ষাদীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়া৷ এর মূল কারণ কন্যাসন্তানকে সামাজিক সুরক্ষা দিতে না পারা৷ একটু বড় হলেই খোলামেলা পরিবেশে বড় হওয়ার জন্য হোক বা মা-বাবার আৰ্থিক সংগতি ঠিক রাখার জন্য কাজ করতে বাইরে যাওয়ার জন্য হোক কন্যাসন্তানদের নিজেরাই নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে নিতে হয়৷ চারপাশের প্ৰলোভন থেকে বাঁচিয়ে রাখা দুষ্কর হয়ে পড়ে তাই পিতামাতার কন্যা সন্তানকে নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যায়৷ আর দরিদ্ৰতা, দরিদ্ৰতা একটা সহযোগী কারণ মাত্ৰ৷
দ্বিতীয় কারণ – চা শ্ৰমিক মহিলার একটা বড় সংখ্যায় রোজগার করেন, পুরুষদের প্ৰায় সমান সমান অবস্থানে দাঁড়িয়ে৷ অৰ্থনৈতিক স্বনিৰ্ভরতার চিত্ৰ এখানে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর থেকে একদম আলাদা, তুলনামূলকভাবে সমাজটা কম পুষতান্ত্ৰিক৷ বরাক উপত্যকার অন্যান্য গ্ৰামীণ জনগোষ্ঠীর সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে যে চা জনগোষ্ঠীর নারী মানসিকভাবে যথেষ্ট সবল, জীবন-- এবং পরিশ্ৰমী৷
তৃতীয় কারণ - নারী শিক্ষার চিত্ৰ দ্ৰুত লয়ে পবিবৰ্তন না হওয়া৷ এরকম আরু অজস্ৰ ছোটো বড় কারণ ওদের জীবনে নিহিত আছে৷ ধীরে ধীরে মহিলা নিজেদেরকে তুলে ধরতে পারছেন৷ যদিও মহিলা সবসময়ই সহযোগী সংবেদনশীল ব্যক্তিবৰ্গ বা সংগঠন পেছন থেকে সঙ্গ যুগিয়েছেন তখনও এ ব্যাপারগুলো পূৰ্ণতা লাভ করার সুযোগ পেয়েছে৷ তেমনি আশির দশকে বিক্ৰমপুর চা বাগানে বোনাসের দাবিতে এক বড় আন্দোলন হয়েছিল, এই আন্দোলনের প্ৰথম সারিতে থাকা কয়েকজন মহিলার নাম পাওয়া যায়৷
[ৰ] চঞ্চলা কৰ্মকার
[২] কোকিলা ঘাটোয়ার
[৩] অহল্যা গোস্বামী
[চ্ছ্ৰ] মুক্তি ভূমিজ
উনার সবাই চা বাগানে কাজ করা মহিলা চা শ্ৰমিক এঁদের অদম্য মনোভাব বোনাস আন্দোলন এক ফলপ্ৰসূ রূপ লাভ করেছিল৷
শিলচরের ‘নারীমুক্তি সংস্থা’ সংগঠনের নেতৃত্বে কয়েকটা বাগান বস্তীতে ঘুরে ঘুরে মহিলা সংস্থা স্থাপন করেছিলেন–বড়মপুর, হরিণচড়া, ডলু, জালতলা ইত্যাদি স্থানে৷ বেশ কয়েকটা দাবীর আন্দোলনের পুরোধা হিসাবে উনার পেয়েছেন কয়েকজন সাহসী মহিলাকে–সোমারি মুণ্ডা, লতিকা বিবি, শান্তি কুৰ্মী, শেফালী কোরক, গোলাপী কুৰ্মী এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য৷ সত্তরের দশকে সোণাখিরা চা বাগানের একজন সমাজকৰ্মী মহিলার নাম পাওয়া যায় শ্ৰীমতি এলাচি রয়, উনি সমাজ সেবার ক্ষেত্ৰে অনেক অবদান রেখে গেছেন৷
চা জনগোষ্ঠীর মহিলার এমনিতে খুব পরিশ্ৰম করতেপারেন৷ কোনো কাজে কোনো সময়ই পিছপা হন না৷ সমানভাবে পুরুষদের সঙ্গে কাজ করে চলেন৷ চা বাগানে কাজ করা বাদে চাষের কাজ করা, মাটি কাটা, ইটভাট্টায় কাজ করা, জঙ্গল থেকে গাছ কেটে জ্বালানি সংগ্ৰহ করা, খালে-বিলে-জলে দাঁড়িয়ে মাছ ধরা, নিৰ্মাণ শ্ৰমিক হিসাবে এক বিশাল সংখ্যক মহিলা শহরে গ্ৰামেগঞ্জে সমানভাবে কাজ করে চলেছেন৷ কোনো চাপে নয়–স্বতঃস্ফূৰ্তভাবেই এই রকম কাজ ওরা করে থাকেন৷
সাধারণতঃ পাতা তোলার মরসূমে অৰ্থাৎ মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস অবধি মহিলা শ্ৰমিকদের কাজের চাপ বেড়ে যায়৷ ভালো চা পাতা তুললে জি রোজগারও অনেক বেশি হয়৷ সাংসারিক দায় দায়িত্ব সব সামলে কাজে যেতে হয়৷ আবার অনেকসময় পাতা যথেষ্ট পরিমানে উৎপন্ন না হলে ‘নিরিখ’ [নিদ্ধারিত পরিমাণ] সম্পূৰ্ণ করা সম্ভব হয় না, তখন উপযুক্ত পারিশ্ৰমিকও পাওয়া যায় না৷
বেশ ক’বছর থেকে পুষ-মহিলা বাইরে কাজ করতে চলে যাচ্ছেন৷ নিজ রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজে্য কাজ করতে যাওয়া মানে একটু বেশি রোজগার, একটু বেশি ভালো থাকা৷ অধুনা ‘করোনা’র প্ৰাদুৰ্ভাবে শ্ৰমিকনা ঘরে ফিরেছেন৷ ঘরে ফেরা শ্ৰমিকদের বেকারত্ব বেড়েছে৷ চা বাগান গুলিতেও অধিক লোকের কাজের সংকুলান নেই৷ স্থায়ী শ্ৰমিক খুব কমই আছেন৷ অস্থায়ীরাই বেশির ভাগ কাজ করে যাচ্ছেন৷
স্বাধীনতান বেশ কয়েকবছর পর থেকে মহিলারা মাতৃত্বকালীন ছুটী পাচ্ছেন৷ ব্ৰিটিশ জমানায় এসব কিছু ছিল না৷ প্ৰথম দুটি সন্তানের ক্ষেত্ৰে ওরা ছাব্বিশ সপ্তাহ সবেতন ছুটি পান এর পরে সন্তান জন্মদানের সময় ছুটী পেয়ে থাকেন৷ অস্থায়ী শ্ৰমিকেরা এসব সুবিধা থেকে পুরেপুরি বঞ্চিত থাকেন৷
বাচ্ছাকে পিঠে বেঁধে কাজ করার চিত্ৰও দেখা যায় প্ৰায় সময়৷ ‘ক্ৰেশ’ ইত্যাদিন সুবিধা বাগানগুলিতে তেমন সুবিধাজনক নেই বললেই চলে৷
অন্যদিকে খেলাধূলার প্ৰতিও তাঁদের ঝোঁক পরিলক্ষিত হয়৷ আশি, নব্বই এর দশকে বরাক উপত্যকায় মহিলা ফুটবল খেলার এক ঢেউ আসে৷ চণ্ডীঘাট, বড়শিঙ্গা ডলু, ময়নাগড়, হাতীছড়া, ঝাপিরবন্দ ইত্যাদি জায়গা থেকে কিশোরী যুবতী মেয়েরা ফুটবল খেলাকে ঘিরে এক প্ৰাণবন্ত সাড়ায় মেতে ওঁঠেছিল৷ বেশ কয়েকটা টীম গড়ে ওঁঠেছিল৷ অনেক জায়গায় মহিলা ফুটবল টুৰ্নামেনট হয়েছে৷
সুলেখক বিবেকানন্দ মহন্ত এর ‘চরগোলা এক্সডাস’ নামে পুস্তকটি অনেক তথ্য সম্বলিত৷ এই মাইলফলক ছোঁয়া বইটিতে বহু তথ্য লিপিবদ্ধ আছে৷ নিৰ্মম অত্যাচার করা হয়েছিল চালান করে আনা শ্ৰমিকদের উপর৷ এই অত্যাচার সইতে না পেরে পুরুষ ও নারী একযোগে প্ৰতিবাদ আন্দোলন করেছিল৷ যদিও এ আন্দোলনে সফল হতে পারেননি৷ তেভাগা আন্দোলনের কিছু আঁচও বরাকে আছড়ে পড়েছিল৷ এতে অনেক শ্ৰমিক মহিলারা যোগদান করেছিলেন৷
সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল বলতে নিজস্ব পরবাদি প্ৰতিপালনে মহিলারাই অগ্ৰগণ্য৷ টুসু পূজায় তাৎপৰ্যপূৰ্ণ সুন্দর সুন্দন গান বাঁধেন মহিলানা৷ পরম্পরা ধরে রাখার জন্য আজও রাচী, ছোটনাগপুন, বাঁকুড়ার মাটির গন্ধভরা রুপ ও রসে ভরা অতীত স্মৃতি সম্বলিত গান চলে আসছে৷ ঐগুলিরই রেশ ধরে মুখে মুখে রচিত হচ্ছে অনেক গান, ধাঁধা আবার তা কালের গৰ্ভে হারিয়েও যাচ্ছে৷ ষাটের দশকে লারসিংগা চা বাগানের মানকুমারী মুণ্ডা ও সুনীতা মুণ্ডার সংগ্ৰহ থেকে সঞ্চয় করা হয়েছে অনেক ঝুমুর ও টুসু গান৷ এরকম চান্দখিরার সাওনা হেমব্ৰম অনেক সাঁওতালী গান লিখেছিলেন৷ রূপাছড়ার বীনা উরাং এর রচিত গানগুলিও খুব জীবনমুখী৷ এরকম একটি গান-‘সকাল সাতটা, সাতটার সময় গো কামলা চলিল চা-বাগানে...’
তাছাড়া প্ৰবীণ প্ৰবীণার রসাত্মক ও ছেলে ভুলানো নানা ধাঁধা ও ছড়া রচনা করেছেন বা করেন যা ধারাবাহিকভাবে আজো প্ৰচলিত আছে৷ দেশ ছেড়ে এসেছেন বহুকাল তবুয়ো দেশের শাল, মহুয়া, ভুট্টা, সরগুঞ্জা লালমাটির হাতছানি দেয় গান-ধাঁধা-ছড়ার মধ্যে জীবিত হয়ে থাকে৷
২০০৭চনৰ ২৪শে নভেম্বর গুয়াহাটির বেলতলায় ‘অল আসাম আদিবাসী সংগঠন এস সি, এসটির দাবীতে একটা মিছিল করেছিল৷ সেই মিছিলের ওপর হামলা হয়েছিল, এই হামলায় মিছিলে যোগদানকারী অনেক মহিলা পুষ প্ৰচণ্ড আহত হয়েছিল৷ উল্লেখযোগ্যভাবে লক্ষ্মী উরাং নামে এক যুবতীকে প্ৰকাশ্য রাজপথে নগ্ন করে দেওয়া হয়েছিল এবং তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্ৰ করে সারা দেশের নানা জায়গা থেকে প্ৰতিবাদ আছড়ে পড়েছিল৷ এরই প্ৰতিঘাতে এই প্ৰত্যন্ত এলাকায় শিলচরের পাশ্বৰ্বৰ্তী স্থানে বড়শিঙ্গা বাগানেও ঢেউটা এসে পড়েছিল৷ সাতাশে নভেম্বর ২০০৭ইং এরই পরিপ্ৰেক্ষিতে প্ৰতিবাদ জানাতে ভি, আই, পি রোড সারাদিনের জন্য অবরোধ করা হয়েছিল৷ এতে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্ৰহণ করেছিলেন৷ মহিলারা খুব বেশি সংখ্যায় ছিলেন৷ এই অবরোধের নেতৃত্বে ভূমিকায়ও মহিলারাই ছিলেন৷
উপযুক্ত পরিবেশে নারীদের অবদান তাই অনস্বীকাৰ্য৷
ঋণ স্বীকার-[১] সন্তোষ রঞ্জন চক্ৰবৰ্তী
[২] স্নিগ্ধা নাথ
No comments